
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে “সুমুদ ফ্লোটিলা” জাহাজ আটককাণ্ডের পর। গাজা অভিমুখী এই মানবিক সহায়তা জাহাজটি ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটক করে শতাধিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব প্রশাসন। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটককৃতদের নিরাপত্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে তাদের সঠিক অবস্থান সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। অন্যদিকে, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা শহিদুল আলমসহ আটক মানবাধিকার কর্মীদের মুক্তির জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
শহিদুল আলমের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, আটক হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই তিনি নিজের ভেরিফায়েড সামাজিক মাধ্যম পেজে ভিডিও বার্তা পাঠান। সেখানে তিনি বলেন,
“আমরা গাজার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে। এখন আমাদের জাহাজ ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যদি আপনারা এই বার্তা দেখেন, জানবেন- আমাদের আটক করা হয়েছে।”
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে আঙ্কারা, কায়রো ও আম্মানে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো তুরস্ক ও জর্ডান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আমানুল হক তুর্কি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শহিদুল আলমকে মুক্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ঘটনাকে “গভীর উদ্বেগজনক” আখ্যা দিয়েছে এবং আটক মানবিক কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র অবশ্য বলেছে, “মানবিক সাহায্যের নামে গোপনে রাজনৈতিক প্রচার চালানোর অভিযোগে জাহাজটি আটক করা হয়েছে।”
বাংলাদেশে শহিদুল আলমের সহকর্মীরা তাঁর নিরাপদ মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।





























