
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক শুধু কাগজে-কলমের বাঁধনে সীমাবদ্ধ নয়, এটি এক আজীবন প্রতিশ্রুতি, ভালোবাসা, সম্মান আর যত্নে গড়ে ওঠা এক অনন্য বন্ধন। সেই বন্ধনকে আরও মধুর করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় রোববার পালন করা হয় স্ত্রীর প্রশংসা দিবস (Wife Appreciation Day)।
২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো এই দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এটি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। দিনটি শুধু উদযাপন নয়, বরং মনে করিয়ে দেয়, একটি সুখী সংসার গড়ে ওঠে যখন দুজন মানুষ একে অপরকে বুঝতে শেখে, সম্মান দেয় আর ভালোবাসার কথা বলতে কার্পণ্য করে না।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর বাণীই যেন এই দিনের বার্তা বহন করে, “বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”
যদিও বা জীবনের প্রতিদিনের ব্যস্ততা, কাজের চাপ আর দায়িত্বের ভিড়ে আমরা অনেক সময় ভুলে যাই, আমাদের পাশে যে মানুষটি সারাক্ষণ নীরবে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছে, তিনি কতটা মহৎ আর গুরুত্বপূর্ণ। স্ত্রীর প্রশংসা শুধু তাকে খুশি করে না, বরং সম্পর্ককে করে আরও শক্তিশালী। একটি স্নেহভরা কথা, একটি হাসি, কিংবা সামান্য কৃতজ্ঞতা, এসবই বদলে দিতে পারে সংসারের পরিবেশ।
কীভাবে উদযাপন করবেন এই দিনটি?
স্ত্রীর হাতে একটি ফুলের তোড়া তুলে দিন।
তাকে নিয়ে যান কোথাও বেড়াতে বা ডিনারে।
উপহার দিন তার প্রিয় কোনো জিনিস।
অথবা সহজভাবে বলুন, তুমি আমার জীবনের সেরা উপহার।
এই ছোট ছোট উদ্যোগই আপনার সম্পর্ককে করবে আরও মধুর, আরও স্থায়ী।
আজকের দিনটি শুধু একটি উপলক্ষ নয়, বরং জীবনের প্রতিটি দিনে স্ত্রীকে সম্মান জানাবার একটি শিক্ষা। কারণ সংসারের সুখ-শান্তির মূলমন্ত্রই হলো ভালোবাসা আর পারস্পরিক শ্রদ্ধা।





























