
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্বাস্থ্য: ঋতু পরিবর্তনের সময় পরিবেশে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বাতাসের মান দ্রুত বদলে যায়। এই পরিবর্তনের সাথে অনেকের শরীর সহজে খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে বাড়ে সর্দি-কাশি, ফ্লু, অ্যালার্জি ও হালকা জ্বরের মতো সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়া পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস ও অ্যালার্জেনের সক্রিয়তা বেড়ে যায় এবং এ সময় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা তুলনামূলক দুর্বল হয়ে পড়ে।
ঠান্ডা পড়লেই অনেকেই মনে করেন শীতের কারণেই কাশি-সর্দি হয়। তবে গবেষণা বলছে, ঠান্ডা আবহাওয়া সরাসরি অসুস্থতা ঘটায় না। বরং কম তাপমাত্রায় রাইনোভাইরাস ও করোনাভাইরাসের মতো সাধারণ সর্দি-কাশির ভাইরাস দ্রুত বাড়ে এবং সহজে ছড়ায়। শীতে বাতাস বেশি শুষ্ক থাকায় ফ্লু ভাইরাসও স্থায়ী থাকে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গরমের সময় সমস্যার ধরন আলাদা। এ সময় পরাগ, ঘাস, ধুলা ও দূষণের কারণে অ্যালার্জির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। অ্যালার্জির বিরুদ্ধে শরীর যখন প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তখন সামগ্রিক ইমিউনিটি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, ঋতু পরিবর্তনের সময় পরিবেশে প্রায় ২০০ ধরনের ভাইরাস সক্রিয় হয়। গড়ে একজন প্রাপ্তবয়স্ক বছরে দুই থেকে চারবার এবং শিশুরা পাঁচ থেকে সাতবার ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়। অর্থাৎ মৌসুমি পরিবর্তন এবং ভাইরাস বৃদ্ধির মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এ সময় ঘন ঘন হাত ধোয়া, চোখ–নাক–মুখে হাত দেওয়া কমানো, পর্যাপ্ত পানি পান, যথেষ্ট ঘুম, ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম ইমিউনিটি শক্ত রাখে। পাশাপাশি ঋতুর সঙ্গে মানানসই পোশাক পরা এবং অ্যালার্জি থাকলে আগেই নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।




























