
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক সংকটের মধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ত্রাণ কার্যক্রমকে রাজনৈতিক ও সামরিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ তুলেছে বিশ্বের ১০০-টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা। অক্সফ্যাম, ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস, কেয়ারসহ প্রখ্যাত সংস্থাগুলো এক যৌথ চিঠিতে জানিয়েছে, যেখানে হাজারো মানুষ অনাহারে, সেখানে খাদ্য ও জীবনরক্ষাকারী সামগ্রী প্রবেশ আটকে দেওয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
সহায়তা সংস্থাগুলোর দাবি, টানা ৫৩৫ দিন ধরে ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। অক্সফ্যাম সতর্ক করেছে, ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র বানানো একটি যুদ্ধাপরাধ। তাদের মতে, গত মার্চে চালু হওয়া ইসরায়েলের নিবন্ধন নীতিমালা শুধু সহায়তা প্রদানে বাধা নয়, বরং স্থানীয় কর্মীদের নিরাপত্তা ঝুঁকিতেও ফেলছে।
এছাড়া, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন এর (জিএইচএফ) বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা সহায়তা বিতরণে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাচ্ছে এবং মূল মানবিক নীতি মানছে না। মানবিক সহায়তার ন্যূনতম মান নির্ধারণকারী সংস্থা স্ফিয়ার অ্যাসোসিয়েশনও এই পদ্ধতির সমালোচনা করেছে।
জাতিসংঘও জানিয়েছে, সামরিক নিয়ন্ত্রিত সহায়তা বিতরণ ব্যবস্থা নিরপেক্ষতা, নির্দলীয়তা ও স্বাধীনতার নীতি লঙ্ঘন করে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, এই ধরনের পদক্ষেপ মূলত সাহায্যকে অস্ত্রে পরিণত করার ইচ্ছাকৃত প্রয়াস। যদিও কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা সীমিতভাবে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে, তবে গাজায় প্রবেশের অনুমতিপ্রাপ্ত ট্রাকের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অতি নগণ্য।
সহায়তা সংস্থাগুলোর অভিযোগ, মার্চে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকে তারা একটি ট্রাকও গাজায় প্রবেশ করাতে পারেনি। ইতিমধ্যেই গাজার জনসংখ্যার প্রায় সবাই তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছে, হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অধিকাংশ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত। অক্সফ্যামের কর্মকর্তা বুশরা খালিদি জানিয়েছেন, তাদের ২৫ লাখ ডলারের পণ্য ইসরায়েল আটকে দিয়েছে।
তবে গাজায় মানবিক সহায়তা তদারকির দায়িত্বে থাকা ইসরায়েলি সামরিক সংস্থা কোগাট এসব অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে। এদিকে ইউরোপীয় কমিশন সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজায় খাদ্যসংকট মোকাবিলায় অবিলম্বে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
সূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম




























