
আওয়ার টাইমস নিউজ।
রহস্যময় বিশ্ব ডেস্ক: বিশ্বের প্রধান মহাকাশ সংস্থাগুলো সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে চাঁদ ও মঙ্গলে মানুষের ভবিষ্যৎ বসতি নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে। এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নাসা, ইউরোপের ইএসএ, ভারতের ইসরো, চীনের সিএনএসএ ও জাপানের জাক্সা—যারা প্রত্যেকে নিজস্ব পরিকল্পনা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়েছে।
নাসা জানায়, তাদের বহুল আলোচিত আর্টেমিস-২ মিশন আগামী বছর মহাকাশচারীদের নিয়ে চাঁদের কক্ষপথে ভ্রমণ করবে। এরপর আর্টেমিস-৩ মিশনে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। এই মিশন শুধু বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানই নয়, ভবিষ্যৎ মানববসতির জন্যও পথ তৈরি করবে।
ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা তাদের ভিশন ২০৪০ পরিকল্পনায় সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল নির্ধারণ করছে। তারা শুধু চাঁদ নয়, মঙ্গলে যাত্রার প্রযুক্তি উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
ভারতের ইসরো ইতোমধ্যে গগনযান প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া তারা জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে লুনার পোলার এক্সপ্লোরেশন (LUPEX) মিশনে কাজ করছে। সেখানে ভারত দেবে ল্যান্ডার এবং জাপান সরবরাহ করবে লঞ্চ ভেহিকল।
চীন চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি মহাকাশ আবর্জনা অপসারণ ও মহাকাশ ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্টে নতুন অগ্রগতি দেখিয়েছে। তাদের লক্ষ্য কেবল চাঁদে অবস্থান নয়, বরং মহাকাশকে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই ও নিরাপদ রাখা।
তবে সামনে রয়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জ—দীর্ঘসময় মহাকাশে মানুষের বসবাস, বিকিরণ থেকে সুরক্ষা, খাদ্য ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। তারপরও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি পরিকল্পনা, প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক সহযোগিতা একত্রে কাজ করে, তাহলে আগামী দশকেই চাঁদ ও মঙ্গলে মানুষের স্থায়ী উপস্থিতি সম্ভব হবে।






























