
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক গত মে মাস থেকে টানাপোড়েনে রয়েছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী মাস থেকে চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এ পদক্ষেপ দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলতে পারে।
ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ-এ পোস্টে উল্লেখ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের ওপর গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়ার রপ্তানিতেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে। এছাড়া তিনি চীনের বিরল জ্বালানি রপ্তানিতে কঠোর বিধিনিষেধকে ‘শত্রুতাপূর্ণ’ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, চীন এইভাবে বিশ্বকে জিম্মি করার চেষ্টা করছে।
ট্রাম্প চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের হুমকিও দিয়েছেন। যদিও পরে তিনি জানান, বৈঠক এখনও বাতিল হয়নি, তবে আলোচনা হবে কি না তা নিশ্চিত নয়।
চীনের ওপর এই শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার পরই মার্কিন পুঁজিবাজারে উল্লেখযোগ্য দরপতন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে গাড়ি, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদনে যে বিরল খনিজগুলো ব্যবহৃত হয়, তার উৎপাদনে চীনের আধিপত্য রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের বিরল খনিজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির ফলে গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনে বড় প্রভাব পড়তে পারে। চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দিলে বেইজিং এই খনিজের রপ্তানিতে কঠোর বিধি আরোপ করে। এতে কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠান যেমন ফোর্ড তাদের উৎপাদন কয়েকদিন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল।
এছাড়া চীন মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোয়ালকমের বিরুদ্ধে একচেটিয়া ব্যবসার তদন্ত শুরু করেছে, যা প্রযুক্তি এবং চিপ উৎপাদন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই শুল্ক আরোপ ও প্রতিক্রিয়ার ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংঘাত নতুন মাত্রায় পৌঁছতে পারে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।





























