
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বহুল প্রতীক্ষিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৫টায় শেষ হয়। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকেই ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৯১৯ জন শিক্ষার্থী ভোটার ছিলেন। ক্যাম্পাসের ২১টি হলে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্র হলগুলোর ভোটার সংখ্যা
আল বেরুনী হল : ২১০
আ ফ ম কামালউদ্দিন হল : ৩৩৩
মীর মশাররফ হোসেন হল : ৪৬৪
শহীদ সালাম-বরকত হল : ২৯৮
মওলানা ভাসানী হল : ৫১৪
১০ নম্বর ছাত্র হল : ৫২২
শহীদ রফিক-জব্বার হল : ৬৫০
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ হল : ৩৫০
২১ নম্বর হল : ৭৩৫
জাতীয় কবি নজরুল হল : ৯৯২
তাজউদ্দীন আহমদ হল : ৯৪৭
ছাত্রী হলগুলোর ভোটার সংখ্যা
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল : ২৭৯
জাহানারা ইমাম হল : ৩৬৭
প্রীতিলতা হল : ৩৯৬
বেগম খালেদা জিয়া হল : ৪০৩
সুফিয়া কামাল হল : ৪৫৬
১৩ নম্বর ছাত্রী হল : ৫১৯
১৫ নম্বর ছাত্রী হল : ৫৭১
রোকেয়া হল : ৯৫৬
ফজিলাতুন্নেছা হল : ৭৯৮
তারামন বিবি হল : ৯৮৩
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
এই নির্বাচনে ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৮ জন প্রার্থী। মোট ৮টি প্যানেল অংশ নেয়, যেখানে বামপন্থি, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত প্রার্থীরা ছিলেন।
তবে নির্বাচন চলাকালে নানা অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল দুপুরের পর নির্বাচনের মাঝপথেই বর্জনের ঘোষণা দেয়।
ছাত্রদল সমর্থিত জিএস প্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী অভিযোগ করেন।
“তাজউদ্দীন হলে ভোটার তালিকায় ছবি না থাকায় ২ ঘণ্টা ভোট বন্ধ ছিল। ২১ নম্বর হলে মব সৃষ্টি করা হয়। মেয়েদের হলে একই আইডি দিয়ে বারবার ভোট হয়েছে। প্রশাসন কিছুই করেনি। তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করছি।”
এর আগে ১৯৯০ সালের পর দীর্ঘ সময় পর এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাকসু নির্বাচন। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।




























