
আওয়ার টাইমস নিউজ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসে তালেবান। চার বছর পার হলেও দেশটি এখনও ভয়াবহ মানবিক সংকটে ডুবে আছে। প্রায় সব খাতেই সংকট প্রকট হলেও তালেবানরা এ পরিস্থিতিকে নিজেদের শাসনকে শক্তিশালী করার সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে।
রাশিয়ার স্বীকৃতি ও বিশ্ব রাজনীতি:
গত জুলাইয়ে রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে কাবুল সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়। জার্মানিসহ কিছু দেশও কার্যত সম্পর্ক স্থাপন করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র যে প্রভাব চার বছর আগে আফগানিস্তান ছেড়ে দিয়ে যায়, সেখানে এখন রাশিয়া ভূমিকা নিচ্ছে। চীনও অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে। যদিও বেইজিং আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তালেবান রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেন।
প্রত্যাবাসন ও নির্বাসন:
জার্মানি দুটি ফ্লাইটে ১০৯ জন আফগানকে দেশে পাঠিয়েছে, যাদের বেশিরভাগ অপরাধে দোষী সাব্যস্ত। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলছে। অন্যদিকে ইরান ও পাকিস্তান থেকে ফেরত আসা মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। শুধু ২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসেই এই দুই দেশ থেকে ২১ লাখের বেশি আফগানকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
নারীদের ওপর চাপ:
সাবেক আফগান কূটনীতিক শুকরিয়া বরকজাই অভিযোগ করেছেন, তালেবানরা নারীদের অধিকার হরণ করে নিজেদের শাসনকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। নতুন নতুন সীমাবদ্ধতা চাপিয়ে নারীদের আরও কোণঠাসা করা হচ্ছে।
ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি:
ইইউ কমিশনের তথ্যমতে, দারিদ্র্যের কারণে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রতি চারজন আফগানের একজন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় এবং প্রতি তিন শিশুর একজন অপুষ্টিতে ভুগছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউএসএআইডি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় ৩০ লাখ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ৪২০টি ক্লিনিক।
সূত্র: ডয়চে ভেলে




























