
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুরের তিস্তাপাড় ঘেঁষা এলাকাগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। নদীর পানি উপচে পড়ায় নিম্নাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে, গবাদিপশু ও ফসলের মাঠ পানিতে নিমজ্জিত। আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের হাজারো মানুষ।
রবিবার রাতে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫০ মিটার, যা বিপদসীমার চেয়ে ৩৫ সেন্টিমিটার বেশি। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, রাতের দিকে পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। ফলে এলাকাবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ছাতনাই, গয়াবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপানীসহ অন্তত ১৫টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার বহু পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকেই শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে গেছেন।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলাতেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে এবং এখনো বাড়ছে। আমরা নদীর পাড়বর্তী এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি করেছি।”
এদিকে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান জানান, “বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।”
অন্যদিকে স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিবারের মতো এবারও আগাম সতর্কতা না থাকায় তারা বিপাকে পড়েছেন। হঠাৎ পানি বাড়ায় অনেকের ফসল ও গৃহস্থালি সামগ্রী ভেসে গেছে।
তিস্তা তীরের মানুষ এখন প্রার্থনা করছেন, যেন পানি আর না বাড়ে এবং তারা দ্রুত ঘরে ফিরতে পারেন।



























