
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: শোকের মাস আগস্টকে ঘিরে দেশজুড়ে বড় ধরনের নাশকতার ছক এঁকেছে আওয়ামী লীগ, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে একাধিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। অন্তর্বর্তী সরকার হটাতে ভয়াবহ সহিংসতা ও গোপন তৎপরতার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটির পলাতক নেতাকর্মী ও সহযোগীরা।
গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি সামনে রেখে ৫ আগস্টকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ। ভারতের মাটিতে বসেই শেখ হাসিনা এ পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। এ জন্য দেশের ভেতরে ও সীমান্তবর্তী এলাকায় চলছে দলীয় ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সম্প্রতি চার শতাধিক ক্যাডারকে ‘কর্মশালা’র আড়ালে আধুনিক হামলা কৌশল শেখানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ঢাকায় নাশকতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। কারিগরি সহায়তায় আছেন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম এবং অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান। জানা গেছে, সীমান্তপথে ভারতে গিয়ে তাঁরা নাশকতার ছক চূড়ান্ত করছেন এবং অর্থ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করছেন হুন্ডির মাধ্যমে।
নাশকতার মূল কৌশল হবে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা, পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়া ও হিট অ্যান্ড রান পদ্ধতিতে গোলযোগ তৈরি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে লুকিয়ে থাকা কিছু কর্মকর্তারও সহায়তা নেওয়া হবে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ আছে। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অডিওবার্তা উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ফোর্সে আওয়ামীপন্থী নিয়োগ দিয়ে রাখা হয়েছে, যারা বিপদের সময়ে বন্দুকের নল ঘুরিয়ে দিতে প্রস্তুত।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সুইজারল্যান্ডে থাকা সামিট গ্রুপের মালিক আজিজ খান বিদেশে ফান্ড ম্যানেজ করছেন। রাজধানীর কনভেনশন সেন্টারে ৮ জুলাই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাহবাগ দখল, সচিবালয়ে হামলা, এসবই একই ছকের অংশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী ‘আমার দেশ’কে জানিয়েছেন, সচিবালয়ে হামলা ও উত্তরা দিয়াবাড়ীর বিক্ষোভে যাঁরা জড়িত, তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শানতু ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানিয়েছেন, দেশবিরোধী তৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।




























