
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হুমায়ুনের সমাধির একটি অংশ ধসে পড়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে নিজামউদ্দিন এলাকায় ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় বহু মানুষ আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অন্তত ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পাঁচটি অগ্নিনির্বাপণ ইঞ্জিন মোতায়েন করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল ঘিরে কড়া নিরাপত্তা জারি রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা ধাপে ধাপে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকা পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
হুমায়ুনের সমাধি ১৬শ শতাব্দীর মাঝামাঝি নির্মিত এক অনন্য স্থাপত্যকীর্তি, যা মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। সম্রাট হুমায়ুন, যার পুরো নাম নাসির উদ্দিন মুহাম্মদ হুমায়ুন, ১৫৩০ সালে তার বাবা সম্রাট বাবরের মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন। শের শাহ সুরির কাছে পরাজিত হয়ে নির্বাসনে যেতে হলেও পরে পারস্যের শাহের সহায়তায় পুনরায় সিংহাসন ফিরে পান। কিন্তু এর এক বছরের মাথায় তার মৃত্যু হয়।
এ সমাধিস্থল শুধু হুমায়ুনের শেষ শয্যাই নয়, বরং মুঘল রাজবংশের প্রায় ১৫০ জন সদস্যের সমাধি এখানে অবস্থিত। এ কারণে এটিকে “মুঘল রাজবংশের নেক্রোপলিস” নামেও ডাকা হয়। অসাধারণ নকশা ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কো এটি বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে।
দিল্লির অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র এই সমাধি দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। তবে এই ধসের ঘটনায় শুধু একটি স্থাপত্যকীর্তিই নয়, মুঘল ইতিহাসের এক জীবন্ত সাক্ষ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হলো বলে ইতিহাসবিদরা মত দিচ্ছেন। উদ্ধার অভিযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত এলাকাটি সাধারণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি




























