
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রভাবে নতুন করে আগ্রহ দেখাচ্ছে ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো। সিরিয়ার অর্থনীতি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওসামা আল-কাদি শুক্রবার জানিয়েছেন, মার্কিন কোম্পানি কনোকোফিলিপস ও শেভরন ইতোমধ্যে তেল ও গ্যাস খাতে কাজ শুরু করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্রিটিশ এনার্জি জায়ান্ট শেল ও ইউরোপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আল-কাদি বলেন, নবগঠিত ব্রিটিশ-সিরীয় বিজনেস কাউন্সিল ব্যাংক লেনদেন সহজ করছে, যা আমদানি-রপ্তানি ও ব্যাংক খাতকে গতিশীল করবে। কনোকোফিলিপস খুব শিগগিরই কারিগরি কাজ শুরু করবে এবং নতুন বছরের শুরুতে পূর্ণ মাত্রায় কার্যক্রম চালু হতে পারে।
মার্কিন কোম্পানির চুক্তি ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীদের কাছে একটি বার্তা দিচ্ছে যে, ২০১৯ সালের সিজার অ্যাক্ট নিষেধাজ্ঞা শিথিল বা তুলে নেওয়া হতে পারে। এতে জার্মানি ও ফ্রান্সসহ অন্যান্য ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠান সিরিয়ায় বিনিয়োগে আগ্রহী হতে পারে।
গত মে মাসে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। তবে সিজার অ্যাক্ট বাতিল করতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন, যা বছরের শেষ নাগাদ হতে পারে।
লাতাকিয়া ও তর্তুস বন্দরের ব্যবস্থাপনা বর্তমানে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড ও কিছু ফরাসি কোম্পানির হাতে রয়েছে, যা আরব দেশগুলোর সঙ্গে বিস্তৃত সমঝোতার অংশ।
তবে আল-কাদি সতর্ক করে বলেন, সিরিয়ার সামনে এখনও বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো, পরিবহন ও ব্যাংক খাতের আধুনিকায়ন এবং আইনি কাঠামো সংস্কার এখনো সমাধান করা বাকি। নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে।



























