
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: একটি শিশু মায়ের বুকের কাছে ঘুমিয়ে নিরাপদ বোধ করে। সেই বুকের উষ্ণতা, সেই মমতার ছায়া যেন তার পুরো পৃথিবী। কিন্তু কল্পনা করুন, যদি সেই বুক আর না থাকে? যদি শিশুটি মায়ের স্নেহমাখা কোলে নয়, বরং মাটির নিচে ঘুমিয়ে থাকা মায়ের কবরের উপর বুক চাপিয়ে থাকে?
ছোট্ট আরাফাতের কষ্ট
আরাফাত (পতিকি নাম) বয়স মাত্র দুই বছর। মাকে ছাড়া এত অল্প বয়সে তার পৃথিবীটাই যেন শূন্য হয়ে গেছে। প্রতিদিন বিকেলে বা রাতে সে ছুটে যায় মায়ের কবরের কাছে। বুক দিয়ে শুয়ে থাকে সেই মাটির ঢিবির উপর—যেন মায়ের বুকের উষ্ণতাই খুঁজে ফিরছে।
কেউ তাকে খেলনা দিলেও সে খুশি হয় না। আশেপাশের সবাই যতই আদর করুক, তার চোখে একটাই খোঁজ—‘আমার মা কোথায়?’
মা ছাড়া পৃথিবী মরুভূমি
মা শুধু সন্তান জন্ম দেন না, তিনি সন্তানকে বাঁচার শক্তি দেন। মায়ের উপস্থিতি ছাড়া পৃথিবীটা হয়ে ওঠে অচেনা, নিরানন্দ মরুভূমি। কোটি টাকার সম্পদ, অট্টালিকা কিংবা বিলাসবহুল জীবন—সবই অর্থহীন হয়ে যায় যদি মায়ের স্নেহ-ছায়া না থাকে।
শিশু আরাফাতের মতো হাজারো সন্তান হয়তো প্রতিদিন মায়ের জন্য কাঁদছে। এই কান্না আমাদের মনে করিয়ে দেয়, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ টাকা-পয়সা নয়, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো মা।
আমাদের জন্য শিক্ষা
এই ছোট্ট আরাফাত আমাদের শিখিয়ে দেয়—মা বেঁচে থাকতেই তাঁকে ভালোবাসতে হবে, তাঁর হাত ধরে রাখতে হবে, তাঁর যত্ন নিতে হবে। কারণ মা একবার হারিয়ে গেলে, পুরো পৃথিবী খালি হয়ে যায়।
মা-ই সন্তানের প্রকৃত আশ্রয়, প্রকৃত নিরাপত্তা, প্রকৃত সুখ। আরাফাতের বুকভরা কান্না যেন আমাদের সবাইকে মনে করিয়ে দেয়—
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো মা, আর মা ছাড়া এই পৃথিবী সত্যিই অর্থহীন এক মরুভূমি।





























