
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় আটকানো সকল ইসরায়েলি জিম্মিকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার পরই ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। জেরুজালেম থেকে প্রাপ্ত এই তথ্য ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে।
কার্যালয়ের মুখপাত্র শোশ বেদরোসিয়ান রোববার সাংবাদিকদের বলেন, “আগামী দিনগুলিতে যদি নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী সব জিম্মিকে আমরা হস্তান্তরভাবে গ্রহণ করতে পারি, তখন ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি কার্যক্রম শুরু হবে।” তিনি পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির সময় কিভাবে কিছু জিম্মির মরদেহ শনাক্ত ও প্রত্যাবর্তন করা হয়েছিল তাও স্মরণ করিয়ে দেন।
অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে যে তারা মুক্তির প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং প্রথম পর্যায়ে একত্রে ২০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। হামাসের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক খবরে বলা হয়েছে, প্রথমে জিম্মিরা আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করা হবে; পরে আইসিআরসি তাদের ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেবে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পরে সীমান্ত দিয়ে তাদের গ্রহণ করবে, প্রাথমিক পরিচয় ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে প্রয়োজন হলে হাসপাতালে নেওয়া হবে এবং পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করানো হবে।
আঞ্চলিক কূটনীতি ও নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছেন, জিম্মি বিনিময়টি যুদ্ধবিরতির ধারকালম্বন ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তবে শেষ চূড়ান্ত উক্তি—কখন প্রত্যেকধাপ দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়িত হবে—তা আলোচনার পর্যায়ে রয়ে গেছে। কূটনৈতিক পর্যায়ে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাও কার্যকর ভূমিকা পালন করছে বলে কূটনৈতিক উৎসরা জানায়।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জিম্মি হস্তান্তর ও বন্দি মুক্তির বাস্তবায়ন ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিস্থিতি ও দুই পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির উপর নির্ভরশীল। যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হয়, তবে এটি সীমিত পরিসরে তাত্ক্ষণিক সহজতা এনে দিতে পারে; কিন্তু স্থায়ী শান্তির পথে বড় চ্যালেঞ্জ এখনও রয়ে গেছে।
সূত্র: এএফপি (AFP).





























