
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: নাম উল্লেখ না করে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, একজন সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ তদন্তাধীন।
অভিযোগ প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ নিয়েও তদন্ত চলছে। নৈতিক স্খলনের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তবে মিডিয়া ট্রায়ালের ভিত্তিতে কাউকে সাজা দেওয়া হবে না। অভিযোগ প্রমাণ হলে অবশ্যই সেনাবাহিনী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে সেনা সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেনা কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন। একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বক্তব্য রাখেন এবং সেনাপ্রধান মনোযোগ সহকারে শোনেন।
সেনাপ্রধান বলেন, একজন সেনা কর্মকর্তাকে গড়ে তুলতে রাষ্ট্র বিপুল অর্থ ব্যয় করে। তাই কেউ যাতে অপরাধে জড়াতে না পারে, সে বিষয়ে আগেভাগেই খেয়াল রাখতে হবে। অপরাধে জড়িয়ে পড়ার পর তাকে বাড়ি পাঠানো রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় ছাড়া কিছুই নয়। সেনাবাহিনী জনগণের আস্থার প্রতীক। জনগণ বিপদের মধ্যে পড়লে প্রথমে সেনাবাহিনী এগিয়ে আসে। এই সুনাম ধরে রাখতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। এসব দেখে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সেনাসদস্যরা দেশের ভবিষ্যৎ। তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে এবং বাহিনীর চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। সেনাবাহিনী একটি পেশাদার সংগঠন। মাঠে দায়িত্ব পালনের সময় পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে। প্রতিশোধমূলক কোনো কাজে জড়ানো যাবে না।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে নানা কটূক্তির জবাবে তিনি বলেন, এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে, তাদের বয়স কম। তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে এবং তখন নিজেরাই লজ্জিত হবে।




























