
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক এবং একইসঙ্গে অনুষ্ঠিতব্য গণভোটকে শত বছরের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন ও গণভোট বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থার পথরেখা নির্ধারণ করবে। জনগণের রায়ের মাধ্যমেই ঠিক হবে—নতুন বাংলাদেশের চরিত্র, কাঠামো ও অগ্রযাত্রার দিকনির্দেশনা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। কয়েক ডজন পুরোনো আইন সংশোধনের পাশাপাশি নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব সংস্কারের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ, যা মৌলিক সাংবিধানিক সংস্কার নিশ্চিত করতে আদেশ আকারে জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নে এবার জনগণের অনুমোদন নেওয়া হবে। তাই আসন্ন নির্বাচনে ভোটারদের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী সংসদ নির্বাচনের দিনই জাতীয় সনদের ওপর হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক ইউনূস জানান, নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভোট শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়; এটি নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে নাগরিকদের সরাসরি অংশগ্রহণ। ভোটের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে থাকে।
প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা থাকবে, শত্রুতা নয়। যারা ভোট বাক্স লুট করবে তারা জনগণের স্বাধীনতা হরণকারী ও দেশের শত্রু। ভোট রক্ষা করা মানে দেশ রক্ষা করা।
তিনি বলেন, কেউ ভোট দিতে বাধা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিন। যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিন। আপনার ভোটের ওপর নির্ভর করছে আপনার, আপনার সন্তানের এবং দেশের ভবিষ্যৎ।
নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগে কিছু রদবদলের কথাও জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এসব পরিবর্তন দক্ষতা ও পেশাগত সক্ষমতার ভিত্তিতে করা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাতের কারণে নয়।



























