আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: নোয়াখালীর এক সময়ের সাধারণ পরিবার, দাদা একজন রিকশাচালক, আর পরিশ্রমী বাবা। তাদের ছেলে সোলাইমান রিয়াদ হঠাৎ করেই এখন এলাকায় ধনীদের কাতারে। বছর খানেক আগেও যার পরিবার বাঁচার তাগিদে দিন কাটাতো টানাপোড়েনে, এখন সেই রিয়াদ কোরবানির ঈদে একাই আড়াই লাখ টাকার গরু কিনে এলাকায় হৈচৈ ফেলে দেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ থানার নবিপুর ইউনিয়নের এক গ্রামে রিয়াদের শৈশব কাটে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা কখনোই ভালো ছিল না। তার দাদা জীবনের পুরোটা সময় রিকশা চালিয়েছেন, আর বাবা দীর্ঘদিন ধরেই একই পেশায় যুক্ত ছিলেন। রিয়াদের স্কুলজীবন, বড় হওয়া, সবকিছুই কেটেছে সীমিত সাধ্যে।
কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে রিয়াদের জীবনে ঘটে যায় নাটকীয় পরিবর্তন। এলাকায় বিশাল ভবন নির্মাণ, ব্যয়বহুল কোরবানির পশু, বিলাসবহুল জীবনযাত্রা, সবকিছু মিলিয়ে অনেকের চোখ কপালে।
স্থানীয়রা বলছেন, কিছুদিন আগেও যিনি বাসাভাড়া দিতে হিমশিম খেতেন, এখন তিনি নিজেই বড়লোক! কেউ কেউ আবার মনে করছেন, তার এই উত্থানের পেছনে হয়তো আছে অন্য কোনো উৎস, যা খুব দ্রুতই সামনে আসবে।
এই গুঞ্জনের মাঝেই হঠাৎ করে খবর আসে—ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগে রিয়াদকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কীভাবে এই অবস্থানে পৌঁছালেন রিয়াদ? তার এই অস্বাভাবিক অর্থসম্পদ কোথা থেকে এলো? প্রশ্ন এখন এলাকাবাসী থেকে শুরু করে নেটদুনিয়া পর্যন্ত।
বিভিন্ন মাধ্যম জানাচ্ছে, তার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশাসনের একাধিক সংস্থাও নজরদারিতে আছে। ইতোমধ্যেই রাজধানীতে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু ব্যক্তিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রিয়াদের এই রহস্যময় উত্থান এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সমাজে এক শ্রেণির মানুষ যখন কঠোর পরিশ্রমেও উন্নতির মুখ দেখে না, তখন হঠাৎ এমন আর্থিক সফলতা অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে।