আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত ১,৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আট মাস আগে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও এখনও বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারেনি। জানুয়ারিতে কেন্দ্রটি জাতীয় গ্রিডে সীমিত পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছিল, তবে কয়লা সরবরাহের জটিলতার কারণে পূর্ণ উৎপাদন এখনো স্থগিত। এর ফলে সরকারের আর্থিক ক্ষতি দিন দিন বাড়ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য চার দফা কয়লা সরবরাহের দরপত্র আহ্বান করা হলেও প্রতিবারই তা বাতিল হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যুৎ খাতের পুরনো কিছু সিন্ডিকেট এখনও প্রভাবশালী এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠান ইয়ংতাই এনার্জি যোগ্য প্রস্তাব দেওয়া সত্ত্বেও কার্যাদেশ পায়নি। প্রতিষ্ঠানটি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে। তবে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের স্বার্থে সাশ্রয়ী মূল্যে কয়লা আমদানি নিশ্চিত করতে হলে প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ায় টেন্ডার আহ্বান করা অপরিহার্য। ইতিমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কারিগরি কমিটি বিষয়টি দেখছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পটুয়াখালী কেন্দ্র পুরোপুরি চালু হলে দেশের বিদ্যুতের চাহিদার বড় অংশ মেটানো সম্ভব হবে। একই সঙ্গে ব্যয়বহুল তেল ও গ্যাস নির্ভর উৎপাদনের ওপর চাপ কমবে। কিন্তু কেন্দ্রটি স্থবির থাকায় এখনো ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হচ্ছে, যা দেশের অর্থনীতিতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বচ্ছ ও দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে এই কেন্দ্র দেশের জন্য উপকারী হওয়ার পরিবর্তে ব্যয়বহুল বোঝায় পরিণত হতে পারে।
সরকার জানিয়েছে, কয়লা আমদানির টেন্ডার পুনরায় আহ্বান করা হবে এবং প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হবে। এতে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া সম্ভব হবে, যা দেশের জন্য সাশ্রয় এবং স্থায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
সূত্র: বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য যাচাই করে প্রস্তুত।