আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি সতর্ক করে দিয়েছেন, যদি আফগানিস্তান ঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে না দেয়, তবে এর ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, বাগরাম বিমানঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করেছিল এবং এখন সেটি ফেরত না পেলে ‘খারাপ কিছু’ ঘটতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি এবং ঘাঁটিটি এখনই ফেরত চাই, আর যদি তা না হয় তাহলে কী ঘটবে তা সবাই খুব শিগগিরই জেনে যাবে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তানে মার্কিন হস্তক্ষেপের সময় বাগরাম হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। বিশাল এ ঘাঁটিতে ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে শপিং সেন্টার, এমনকি একটি কারাগার কমপ্লেক্সও ছিল। তবে ২০২১ সালে মার্কিন সেনারা দেশ ছাড়ার পর তালেবান বাগরামসহ অন্যান্য ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং তারপর থেকেই আফগানিস্তান জোর দিয়ে জানিয়ে আসছে, তারা আর কোনো বিদেশি শক্তিকে সেখানে অবস্থান করতে দেবে না।
সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাগরাম পুনর্দখল করতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান চালাতে হবে। এতে অন্তত ১০ হাজার সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসানোর প্রয়োজন হবে। একইসঙ্গে তালেবান, ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল কায়েদার মতো গোষ্ঠীর হামলার ঝুঁকি থাকবে এবং ইরান থেকেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ ধরনের ঝুঁকির উদাহরণ ইতোমধ্যে দেখা গেছে ২০২৫ সালের জুনে, যখন কাতারের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
যদিও ট্রাম্প সরাসরি সেনা পাঠানোর বিষয়ে কিছু বলেননি, তবে তার সতর্কবার্তায় নতুন সামরিক উত্তেজনার ইঙ্গিত স্পষ্ট। আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের এই টানাপোড়েন শেষ পর্যন্ত কোন দিকে গড়াবে তা এখন বিশ্বজুড়ে কৌতূহলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স