আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদের নিচে গোপনে সুরঙ্গ খোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। ফিলিস্তিনি প্রশাসনের দাবি, এই বেআইনি খনন কার্যক্রম মসজিদটির ভিত্তি ও ঐতিহাসিক স্থাপনার ওপর গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে।
রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ফাঁস হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী উমাইয়া যুগের ইসলামি প্রত্ননিদর্শন ধ্বংসের উদ্দেশ্যে গোপনে খনন করছে। ফিলিস্তিনিরা বলছে, এসব কাজ পূর্ব জেরুজালেমকে ইহুদিকরণের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।
জেরুজালেম গভর্নরেট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ ও ইউনেস্কোকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দখলদার ইসরায়েলকে এই লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। গভর্নরেট আরও সতর্ক করেছেন, এই খননের ফলে মসজিদটির ভিত্তি ও ঐতিহাসিক সম্পদের ওপর অমোঘ প্রভাব পড়তে পারে।
আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা এটিকে ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে উল্লেখ করে, যেখানে তাদের প্রাচীন দুটি মন্দির ছিল বলে দাবি করা হয়। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে পুরো শহরটি নিজেদের ভূখণ্ডে সংযুক্ত করে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনো স্বীকৃতি দেয়নি।
আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, আল-আকসার তত্ত্বাবধানের একমাত্র দায়িত্ব জর্ডান পরিচালিত জেরুজালেম এনডাওমেন্ট কাউন্সিলের। ২০১৩ সালে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ ও ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের চুক্তিতে পূর্ব জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের সব পবিত্র স্থানের রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রতিরক্ষার দায়িত্ব জর্ডানের ওপর অর্পণ করা হয়েছে।
বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন যে, ইসরায়েলের এই গোপন কার্যক্রমের ফলে আল-আকসা মসজিদের ঐতিহাসিক পরিচয় ও সংস্কৃতি বিপন্ন হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করতে হবে, যাতে পবিত্র স্থানটি সংরক্ষিত থাকে এবং ইতিহাস ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়।