
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিম তীর, গাজার সন্ধ্যায় যুদ্ধবাজিরা হয়তো আলো পেয়েছে সংবাদ পাতায়, কিন্তু ওই আলোশিখায় ঢাকা পড়ে অতল আঁধার—পশ্চিম তীর। আজও সেখানে ৩০ লাখ মানুষের হৃদয়ে বাজে এক অবিরাম ব্যাথার সুর। দখলদারির ছায়ায়, অস্ত্রবাজির ছোড়ে, দিনের আলোয় ‘নিরাপত্তা’ নামের এক মিথ নিয়ে তাদের জীবন উপনিবৃত্তির উপক্রম।
আগুন জ্বালানো দিনের শীতল মাঠ-সহিংসতার চার বছর
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার দিকে ঘটেছিল এক আঘাত– ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ। সেদিন থেকেই গাজা সংবাদ শিরোনামে, কিন্তু পশ্চিম তীরের গল্প—যেখানে ১৯৬৭ সাল থেকেই দখল শুরু-সেগুলো হয়তো ফিকে হয়ে গেছে।
আজও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ, বাড়ি উচ্ছেদ, নিরাপত্তা চেকপোস্ট, রুটবাঁধা, ছেলেমেয়েদের ভয়ানক অধ্যায়-সবকিছু মিলিয়ে ৭,৫০০-রও বেশি অভিযান চালানো হয়েছে, একটি মানবিক গাণিতিক দুঃস্বপ্ন হিসেবে।
গৃহহারা পরিবার ও ছিন্নমূল পথচলা
ধ্বংস হওয়া বাড়ি, বাস্তুচ্যুত পরিবার…
এখানে বাড়ি বলতে অনেক সময় শৈশব, স্মৃতি, সুরক্ষা—সব মুছে যায় এক ঝাঁকুনিতে।
কোন যেন চিহ্ন নেই যে, সেখানে কেউ বাস করত।
শরণার্থী শিবিরে মিলিয়ন মানুষের তর্ক-কী ভবিষ্যৎ?
বালাতা শিবিরে ২৫০ বর্গমিটার ঘরে ৩৩,০০০ মানুষ — ঘনবসতি এমন যে অগ্রগামী শহরগুলো লজ্জা পাবে।
শতাংশের দখলে, ১৫০টা বসতির ছোবল
যেখানে প্রশাসন নেই, সেখানে বাস্তুচ্যুতি আছে —
এলাকা C–তে ৬১ শতাংশ ভূমি ইসরায়েলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে,
৭ লাখেরও বেশি ইসরায়েলি বাসিন্দা।
১৫০টি নেতিবাচক বসতি, ২০০ অবৈধ আউটপোস্ট—সবই যুদ্ধের অঙ্গ।
আর আন্তর্জাতিক আদালতের রায় তাদের কানে যায় না—
“অবৈধ” বলা হয়, কিন্তু বাস্তবতা বদলায় না।
মৃত্যু, দুর্ভোগ ও আটকে পড়া আশা
নিহত সংখ্যা: ২২ মাসেই ৯৯৬ জন; ২০২৫-এ ৩৯ শিশুসহ ১৯০ জন।
নিরাপত্তাহীনতা: শিক্ষা বন্ধ, চিকিৎসা পৌঁছনো অচল, সীমাহীন পরীক্ষা।
দুশ্চিন্তা ও ত্যাগ: আজ নুন আনতে পারবে না কেউ, খাওয়ার জায়গা না পেয়ে অনেকে ফেটে পড়ে।
ই-১ পরিকল্পনা: পূর্ব জেরুজালেমকে যুক্ত করে নতুন অবৈধ বসতি নির্মাণ-দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অস্তিত্ব নান্দনিক।
এক আশ্রয়ন্তু আলো-আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাব্য পথ
বিশ্ব নেতারা, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ-সবাই প্রশ্ন করছে, “এ কি হবে না?” জাতিসংঘ মহাসচিব বলছেন, ই-১ পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন।
মানবাধিকার সংগঠন বলছে-পশ্চিম তীর এখন শুধু ভূমি নয়, এটি এক জনমনে দুঃস্বপ্ন।
সমাধান? শান্তি আলোচনা, সত্যিকার স্বায়ত্তশাসন, আন্তর্জাতিক আইনপ্রণয়ন ও কার্যকর নজরদারি।
পশ্চিম তীর আজ শুধু একটি ভূখণ্ড নয়,
এটি মানুষের আঁটসাঁট নি:শ্বাস,
এটি আশা ও নিঃস্বার যন্ত্রণালিকা,
এটি এক জীবন্ত প্রতিজ্ঞা-ঢাকা যাবে না; দখল হবে না।
নোট: ওপরের সব বিবরণ আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনের পুনর্বিবেচনায় আপাত তথ্যের ভিত্তিতে-যেকোন সময় হালনাগাদ হতে পারে।
সূত্র: Reuters (reuters.com)



























