
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পর্তুগালের পার্লামেন্টে একটি নতুন বিল পাস হয়েছে, যা জনসমক্ষে নিকাব বা বোরকা পরাকে সীমিত করতে পারে। বিল অনুযায়ী, উন্মুক্ত স্থানে নিকাব পরলে জরিমানা ২০০ থেকে ৪,০০০ ইউরোর মধ্যে হতে পারে। কাউকে জোর করে নিকাব পরানোর চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তবে বিমানবন্দর, কূটনৈতিক এলাকা ও উপাসনালয়গুলিতে নিকাব পরার অনুমতি থাকবে।
বিলটি মূলত লিঙ্গভিত্তিক ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে মুখ ঢেকে রাখার পোশাক নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব নিয়ে পাস করা হয়েছে। উত্থাপনকারী চেগা পার্টির নেতা আন্দ্রে ভেনচুরা বলছেন, এটি নারীর স্বাধীনতা রক্ষা ও ইউরোপীয় মূল্যবোধকে সংরক্ষণের একটি পদক্ষেপ।
অন্যদিকে, বামপন্থি আইনপ্রণেতারা এই বিলকে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ এবং মুসলিম নারীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা করেছেন। ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি আন্দ্রেয়া নেটো বলেন, কোনো নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুখ ঢেকে রাখতে বাধ্য করা উচিত নয়, এটি নারী-পুরুষ সমতার প্রশ্ন।
বিলটি এখনই আইন হিসেবে কার্যকর হবে না। প্রথমে এটি সাংবিধানিক কমিটিতে পাঠানো হবে পর্যালোচনার জন্য। এরপর প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজা অনুমোদন দেবেন কি না তা সিদ্ধান্ত নেবেন।
ইতোমধ্যে মানবাধিকার সংগঠন এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এই সিদ্ধান্তকে নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ ইতোমধ্যে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে জনসমক্ষে নিকাব-বোরকা নিষিদ্ধ করেছে। পর্তুগালও এই তালিকায় যোগ দিতে যাচ্ছে।





























