আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ‘ফ্লোটিলা’ অভিযান সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবীরা ইজরায়েলি কারাগারে মারধর ও খাবারের ঘাটতির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযানে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে আন্তর্জাতিক জলবায়ু ও মানবাধিকার কর্মীও রয়েছে।
আদালাহ নামক মানবাধিকার সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটককৃতদের অনেককে পর্যাপ্ত পানি ও খাবার দেওয়া হয়নি এবং কারারক্ষীদের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কিছু বন্দিকে ইজরায়েলি পতাকার সামনে দাঁড় করিয়ে ভিডিও করা হয়েছে, যা মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্য ছিল।
সুইডেনের ২২ বছর বয়সী জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও এই অভিযানের অংশ ছিলেন। স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, তাদেরকে দীর্ঘ সময় ধরে শক্ত মেঝেতে বসানো হয়েছে এবং কারারক্ষীদের আচরণ ছিল অত্যন্ত কঠোর। এছাড়াও অনেকে বলছেন, রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে হয়েছে এবং বিশ্রামের সুযোগ ছিল না।
তুরস্কের সাংবাদিক ও ফ্লোটিলা সদস্য এরসিন চেলিক জানান, থুনবার্গকে ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করে নির্যাতন চালিয়েছে এবং তাকে পতাকায় চুম্বন করতে বাধ্য করা হয়। তবে ইজরায়েলি কারা প্রশাসনের মুখপাত্র এ ধরনের কোনো ঘটনার বিষয়ে জানেন না বলে দাবি করেছেন।
আদালাহর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৪৫০-এর বেশি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩৭ জনকে তুরস্কের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে অনেকেই খাদ্য ও পানির ঘাটতির কারণে শারীরিক অসুবিধায় ভুগছেন।
ফ্লোটিলা অভিযানটি গাজার ওপর দীর্ঘমেয়াদি নৌ অবরোধ এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিবাদে শুরু করা হয়েছিল। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মনোযোগ গাজার মানবিক সংকটের দিকে ফেরানো হয়েছে।
সূত্র: টাইমস অফ ইসরায়েল