সর্বশেষ
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠক: বাণিজ্যচুক্তিতে নতুন অধ্যায় ঘোষণা করলেন ট্রাম্প
আপনার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে কিনা বুঝবেন কিভাবে: লক্ষণ ও প্রতিকার
মুরগির মাংস দেখে আনন্দে সেজদায় লুটিয়ে পড়ল গাজার এক শিশু
যুদ্ধবিরতির মাঝেই নেতানিয়াহুর নির্দেশে গা’জায় ইস’রায়ে’লি হাম’লায় অন্তত শতাধিক নিহত
ব্যাটারির অ্যাসিডে দূষিত ঘাস খেয়ে চার গরুর মৃত্যু ও আট গরু অসুস্থ
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজি ও দুঃশাসনমুক্ত একটি সুশাসনভিত্তিক বাংলাদেশ গড়বে: এম. কফিল উদ্দিন
নিউজ
আন্তর্জাতিক
দুর্বল নেপালের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া দলের কাছে ঘরের মাঠেই ২-০ তে নির্লজ্জ পরাজয় টাইগারদের
টানা চার দফা স্বর্ণের দাম কমানোর পর এবার এক লাফেই ভরিতে বেড়েছে প্রায় ৯ হাজার টাকা
আঃ লীগকে নির্বাচন করতে না দিলে কি হবে রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হাসিনার হুমকি
টাইগারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১২ রানে ৫ উইকেট হারালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল
ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের কর্মকাণ্ডে হতাশ বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ
কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে মূল্যবান যে তিনটি আমল
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত ছবি তুলে সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন আরেক ছাত্রী

ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের শহীদের নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া

Our Times News

আওয়ার টাইমস নিউজ।

নিউজ ডেস্ক: ২০১৩ সালের ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর হত্যাযজ্ঞ ও ২০২১ সালের মোদি বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হওয়া পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

শনিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে মোট ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার চেক শহীদ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসমাবেশ চলাকালীন হত্যাযজ্ঞে শহীদ ৫৮টি পরিবার এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসের বিক্ষোভে শহীদ ১৯টি পরিবারকে প্রতি পরিবারে ১০ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়।

প্রধান অতিথি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন,

> “শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। ঐতিহাসিক শাপলা চত্বর এবং মোদি বিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, আজকের এই স্বীকৃতি তাদের রক্তের মর্যাদা বহন করে।”

তিনি আরও বলেন, সরকার শহীদদের স্মৃতি চিরস্থায়ী করতে শাপলা চত্বর এলাকায় শহীদদের নাম খোদাই করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে।

বিশেষ অতিথি ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন,

> “এই সহায়তা শুধু অর্থ নয়, এটি দুইটি ঐতিহাসিক ঘটনার শহীদদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।”

তিনি এ উদ্যোগকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন।

অনুষ্ঠানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,

> “এই মহতী উদ্যোগের মাধ্যমে সারা বাংলার আলেম সমাজ সম্মানিত হয়েছে। শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সরকার মানবিকতার নজির স্থাপন করেছে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাজিদুর রহমান

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া

বক্তারা বলেন, “এই সহায়তা শুধু শহীদ পরিবারের প্রতি নয়, এটি বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় মানুষের সংগ্রামের প্রতি সরকারের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।”

সম্পর্কিত খবর

এই পাতার আরও খবর

সর্বশেষ

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত