আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি বন্দীরা ইসরায়েলের কারাগারে যে মাত্রার শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তা নতুনভাবে প্রকাশ্যে এসেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘রাষ্ট্রীয় নীতি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে ভুক্তভোগীরা তাদের অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। একজন বন্দী জানান, কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়াই তাকে দীর্ঘ সময় ধরে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। বন্দীর কথায়, তাকে নগ্ন করা হয়, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়, এবং পরিবারকে নিয়ে হুমকি দেওয়া হয়।
আরেক বন্দী শেয়ার করেন, কারাগারের রক্ষীরা তার ওপর কুকুর ব্যবহার করে যৌন লাঞ্ছনা চালিয়েছে। তিনি বলেন, “যত চিৎকার করছিলাম, ততই যন্ত্রণা বেড়েছে। আমি প্রায় জ্ঞান হারানোর উপক্রম হয়েছিলাম।”
মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানাচ্ছে, ইসরায়েলের মেগিদ্দো ও সদে তিমান কারাগারগুলোতে বন্দীদের ওপর পদ্ধতিগত নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক দপ্তর এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও, জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগারগুলোতে বন্দীদের পরিস্থিতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং মানবাধিকারের মান বজায় রাখা হচ্ছে না।
বর্তমানে এই কারাগারে প্রায় ৯ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছেন, যাদের অনেকের বিরুদ্ধেই কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ নেই। সাম্প্রতিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বন্দীদের অধিকাংশই সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
সূত্র: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের রিপোর্ট