
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার এক ভাই ইসরায়েলি বোমায় শহীদ হয়েছেন, আরেক ভাই ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়েছেন নামাজে, এ যেন চোখের জলে হৃদয় বিদারক এক চিত্র। শহীদ ফটোসাংবাদিক ইসমাইল আবু হাতাবের স্মৃতিই যেন আজ ভেসে উঠছে তার ভাই আহমেদ আবু হাতাবের প্রতিটি সিজদায়, প্রতিটি ছবিতে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শহীদ হন ফটোসাংবাদিক ইসমাইল। মৃত্যুর আগে তিনি শুরু করেছিলেন একটি বিশেষ আলোকচিত্র প্রকল্প‘আকাশ ও সাগরের মাঝে’। এই প্রকল্পে ফুটে উঠেছিল গাজার প্রতিদিনের জীবন, মানুষের হাসি-কান্না, প্রার্থনা ও বেঁচে থাকার অদম্য প্রত্যয়।
ইসমাইলের মৃত্যুর পর তার ভাই আহমেদ একটি অঙ্গীকার করেছিলেন, এই কাজ থামবে না। ভাইয়ের তোলা ছবিগুলোকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন এক ভ্রাম্যমাণ আলোকচিত্র প্রদর্শনী, যা আজ লন্ডন, কায়রো, ইস্তাম্বুল, দোহা, বার্লিন হয়ে পৌঁছেছে শিকাগো।
প্রদর্শনীর প্রতিটি ছবিতে গল্প আছে, শিশুর মুখের এক টুকরো হাসি, ধ্বংসের মধ্যে মাথা নত করে নামাজে দাঁড়ানো মানুষ, কিংবা সমুদ্রের পাড়ে হারিয়ে যাওয়া এক প্রার্থনার মুহূর্ত। এগুলো শুধু ছবি নয়, বরং এক শহীদ ফটোসাংবাদিকের চোখ দিয়ে দেখা ইতিহাস, প্রতিরোধ ও ভালোবাসার আলেখ্য।
আহমেদ আবু হাতাব বলেন, আমার ভাই চেয়েছিলেন যেন দুনিয়া গাজার মানুষদের বাস্তবতা বুঝতে পারে। সে নেই, কিন্তু তার ক্যামেরা আজও কথা বলে।
এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী যেন এক ভাইয়ের চোখে আরেক ভাইয়ের আত্মত্যাগকে ধরে রাখা প্রতিচ্ছবি। যেখানে যুদ্ধ নেই, আছে ভালোবাসা; আছে দোয়ার ভাষা, আর আছে শহীদ ভাইয়ের জন্য স্থায়ী শ্রদ্ধা।
সূত্র: আল জাজিরা




























