আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অবশেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। শনিবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা।
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শহিদুল আলম বলেন,
“প্রথমেই বলতে চাই, গাজা এখনো মুক্ত নয়। তাই আমাদের সংগ্রামও শেষ হয়নি। ফিলিস্তিনের মুক্তি না আসা পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।
তিনি বাংলাদেশের জনগণ, অন্তর্বর্তী সরকার, তুরস্ক সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, যারা তার মুক্তিতে ভূমিকা রেখেছেন।
ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর আচরণের সমালোচনা করে শহিদুল আলম বলেন,
“আমাকে আটক করার সময় যখন তারা আমার পাসপোর্টে বাংলাদেশের নাম দেখল, তখন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে। পরে সেই পাসপোর্টটি মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। একটি দেশের পাসপোর্ট অপমান করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
শহিদুল আলম ‘দৃক’ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং দীর্ঘদিন ধরে মানবাধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে সোচ্চার। তিনি ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’-এর অংশ হিসেবে গাজামুখী এক মানবিক নৌবহরে যোগ দেন, যার লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।
গত ৮ অক্টোবর ওই নৌবহরে হামলা চালিয়ে শহিদুল আলমসহ শতাধিক অধিকারকর্মী ও নাবিককে আটক করে ইসরায়েলি সেনারা। পরবর্তীতে তাকে কেৎজিয়েত কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশ সরকার তুরস্ক, জর্ডান ও মিসরের মাধ্যমে কূটনৈতিক উদ্যোগ চালিয়ে গেলে অবশেষে তার মুক্তি নিশ্চিত হয়।
শহিদুল আলমের মুক্তিতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।