আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দমন অভিযান সংক্রান্ত মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে প্রমাণ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপের অডিও উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে জনসমাবেশ দমন সংক্রান্ত সরাসরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “এই ফোনালাপে দেখা যাচ্ছে, শেখ হাসিনা তার ডেপুটি মিলিটারি সেক্রেটারি কর্নেল রাজিবকে নির্দেশ দেন,
‘ওরা কিন্তু জায়গায় জায়গায় এখন জমা হতে শুরু করেছে। মিরপুর ১০ নম্বর, উত্তরা, তারপরে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং বিভিন্ন জায়গায়। শুরুতেই কিন্তু ইয়ে.....করতে হবে, একদম শুরুতেই। ধাওয়া দিলে এরা গলিতে গলিতে থাকবে। এবার আর কোনো কথা নাই, এবার শুরুতেই দিবা।’
চিফ প্রসিকিউটর আরও জানান, এই নির্দেশনা সরাসরি গুলির নির্দেশ হিসেবে প্রমাণে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফোনালাপের অপর প্রান্তে কর্নেল রাজিব ছিলেন, যিনি ডেপুটি মিলিটারি সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। অডিওতে দেখা যায়, কল ধরার সঙ্গে সঙ্গে কর্নেল রাজিব ‘স্যার’ সম্বোধন করে সালাম জানান।
ট্রাইব্যুনালে এই অডিও প্রদর্শনের আগে চিফ প্রসিকিউটর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন। এতে শেখ হাসিনার শাসনামলে আন্দোলন দমন অভিযান, আওয়ামী লীগের ভেতরের অস্থিরতা এবং আন্দোলন দমন প্রক্রিয়ার দৃশ্যাবলী দেখানো হয়।
তাজুল ইসলাম জানান, ফোনালাপটি ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই নেওয়া হয়েছিল এবং এটি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দমন অভিযানের প্রমাণ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন প্রমাণের সঙ্গে যুক্তিতর্ক চলাকালে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, সকল প্রমাণ আইন অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে এবং আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।