আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর কাকরাইলে যৌথবাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ও তার দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার (৩০ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “যেই হোক না কেন, নৃশংস এই হামলায় জড়িত কেউ রেহাই পাবে না। প্রভাব, পদমর্যাদা বা রাজনৈতিক পরিচয়-কোনো কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।” হামলাকারীদের কঠোর বিচারের আওতায় আনা হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে এবং বিচারের রায় কার্যকর করতে কোনো বিলম্ব করা হবে না।
ন্যায়বিচারের সংগ্রামে আঘাত
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “এ হামলা কেবল নূরের ওপর নয়; এটি জাতির ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সংগ্রামের স্পিরিটের ওপরও আঘাত।”
নূরের চিকিৎসার দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে।
আহতদের চিকিৎসায় বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানায় সরকার। প্রয়োজনে নুরসহ অন্য আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে পাঠানো হবে।
রাজনৈতিক ঐক্যের আহ্বান
সংকটকালীন এই সময়ে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, “জাতীয় স্বার্থে কোনো প্রকার বিভাজন বা বিশৃঙ্খলার সুযোগ সৃষ্টি করা যাবে না।”
নির্বাচন প্রতিশ্রুতি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার এই প্রতিশ্রুতি থেকে সরকার কোনোভাবেই সরে আসবে না। নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচাল করার ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।