আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দোহায় ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এক কাতারি নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় শেষ পর্যন্ত কাতারের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোন করে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা না চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নেতানিয়াহু প্রথমেই গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করেন যে, হামাসকে লক্ষ্য করে চালানো হামলায় অনিচ্ছাকৃতভাবে এক কাতারি সেনাসদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করেন, জিম্মি মুক্তি আলোচনার সময় হামাস নেতৃত্বকে টার্গেট করা কাতারের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন ছিল। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করেন।
নেতানিয়াহুর অফিস থেকেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে কাতারি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলা হয়, ইসরাইল কাতারের জনগণকে নয় বরং হামাসকে লক্ষ্য করেছিল। তবে একজন কাতারি নাগরিক নিহত হওয়ায় ইসরাইল অনুতপ্ত এবং ভবিষ্যতে কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর ইসরাইল দোহায় হামলা চালিয়ে অন্তত পাঁচজন হামাস সদস্য এবং এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। হামলাটি মূলত হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো হলেও তারা অল্পের জন্য রক্ষা পান। এ ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস দোহায় কাতারের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ইসরাইলকে কঠোরভাবে নিন্দা করেন। একই সঙ্গে প্রায় ৬০টি মুসলিম দেশ কাতারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে।