
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আবেগ সামলাতে পারেননি সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তাকে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়।
আদালত সূত্র জানায়, বিকেল ৫টা ২৮ মিনিটে হাজতখানা থেকে তাকে এজলাসে তোলা হয়। এরপর পুলিশ তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বারবার চোখের পানি মুছতে থাকেন। তার আইনজীবীরা এ সময় কাছে গিয়ে কথা বলেন।
এর আগে আদালত প্রাঙ্গণে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আনিস আলমগীরকে হাতকড়া পরানো অবস্থায়, মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে আদালতে আনা হয়। এ সময় সেখানে উল্লেখযোগ্য ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক মুনিরুজ্জামান আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন। প্রসিকিউশন বিভাগ জানায়, গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা আনিস আলমগীরকে এই মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সাংবাদিক আনিস আলমগীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে থানা পুলিশ মামলাটি পরিচালনা করছে।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন আলোচনায় রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চালানো হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার গুজব ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা বিনষ্ট ও অবকাঠামোর ক্ষতি সাধনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।



























