আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাতারে ইসরাইলি বিমান হামলার টার্গেট ছিলেন হামাস নেতারা। তবে মোবাইল ফোন এক জায়গায় রেখে অন্যত্র নামাজ আদায় করতে যাওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তারা। এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক আরবি গণমাধ্যম আশার্ক আল আওসাত, যা উদ্ধৃত করেছে জেরুজালেম পোস্ট ও জিউইশ ক্রনিকলস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি গোয়েন্দারা হামাস নেতাদের ফোন সিগন্যাল ট্র্যাক করে দোহার আবাসিক এলাকার একটি ভবনে হামলা চালায়। তখন ওই ভবনে না থাকায় বেঁচে যান হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল-হায়া ও অন্যান্য নেতারা। তবে ভবনটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এতে ছয়জন নিহত হন, যাদের মধ্যে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নাগরিক।
গত মঙ্গলবার টানা কয়েক দফা বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। লক্ষ্য ছিল গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে কাতারে অবস্থান করা হামাস নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইল পূর্বেও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে টার্গেটেড হামলা চালিয়েছে। ইরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও কয়েকজন ইরানি কর্মকর্তাকে হত্যার সময়ও একই কৌশল ব্যবহার করা হয়েছিল।
এই ঘটনায় আবারও প্রশ্ন উঠেছে, প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীলতা কতটা নিরাপদ এবং ভবিষ্যতে নেতাদের সুরক্ষা কৌশল কীভাবে পাল্টাতে হবে।
সূত্র: আশার্ক আল আওসাত, জেরুজালেম পোস্ট, জিউইশ ক্রনিকলস