আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি বিমান হামলায় কাতারের দোহায় একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। হামলায় অংশ নেয়া ১৫টি যুদ্ধবিমান মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ওই ভবনে ১০টি গোলা নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় হামাসের কয়েকজন সিনিয়র নেতা নিহত হয়েছেন।
হামলার পেছনের কারণ হিসেবে জেরুজালেমে দুটি ফিলিস্তিনি হামলায় ইসরায়েলি নাগরিক ও সৈন্যদের নিহত হওয়াকে ইসরায়েল দায়ী করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ সেনাবাহিনীকে সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।
ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের মধ্যে হামাসের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে, হুম্মাম এবং হায়া অফিসের পরিচালক জিহাদ লাবাদ অন্তর্ভুক্ত। কাতার সরকার জানিয়েছে, ভবনে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। হামাস এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও “জঘন্য অপরাধ” হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার আগে মার্কিন সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। হামলার লক্ষ্য ছিল গাজার কিছু সিনিয়র নেতা, যা ইসরায়েলি নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ। তবে হামাস দাবি করেছে, আলোচনার টেবিলে থাকা নেতাদের হত্যা করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
এটি ইসরায়েলের চলমান হামলা ও পাল্টা হামলার ধারাবাহিকতায় ঘটে, যা ২০২৩ সাল থেকে গাজার ভেতরে চলমান পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ইরান সফরের সময়ও হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
এই হামলার ফলে কাতারে নিরাপত্তা শঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আবাসিক এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট ও জনসাধারণের চলাচলে সতর্কতা জারি করেছে।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি