
আওয়ার টাইমস নিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জমিয়ত স্বাধীনতাকামী জনগণের পক্ষে ছিল। তাই এ দেশের কোনো মায়ের সন্তান জমিয়তকে তকমা দিয়ে কলঙ্কিত করার সাহস দেখাতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার নীলফামারীর ডোমার নাট্য সমিতি মিলনায়তনে ছাত্র জমিয়ত ডোমার উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সভাপতি হাফেজ ছফিয়ার রহমান।
মাওলানা আফেন্দী বলেন, “আমরা কখনো স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস করিনি। জাতিসংঘ ঢাকায় মানবাধিকার কমিশনের অফিস খুললে প্রথম আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। যদি ইসলামী রাজনীতি মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপ থাকা হয়, তবে সেই রাজনীতি আমরা করি না।
তিনি আরও বলেন, “১০৬ বছরের সংগঠনকে এখন যারা রাজনীতি শেখাতে আসে, তাদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলছি, আমরা আমাদের আদর্শ ও কৌশল নিজেরাই ঠিক করব। ফ্যাসিবাদের আমলে আমাদের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, আমরা তার প্রতিবাদ করেছিলাম। ইনশাআল্লাহ সেই ইতিহাস আবার ফিরে আসবে।
তিনি দাবি করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জমিয়ত স্বাধীনতাকামীদের পাশে থেকে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছে এবং স্বাধীনতার পর তাদের প্রবীণ নেতাদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের আন্দোলনেও জমিয়ত সামনের সারিতে ছিল বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নীলফামারী জেলা জমিয়তের সহ-সভাপতি ও এমপি প্রার্থী মাওলানা রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ মঞ্জুর প্রমুখ। এ সময় নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে মো. সফিয়ার রহমান সভাপতি ও ওয়ায়েজ কুরুনী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।




























