
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদের বিবরণ প্রকাশ না হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার। ক্ষমতায় আসার পর প্রথম ভাষণেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, উপদেষ্টাদের সম্পদ-তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। এ উদ্দেশ্যে নীতিমালাও করা হয়। তবে এক বছর পার হলেও এখনো কারও আয়–সম্পদের হিসাব প্রকাশিত হয়নি।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শেখ হাসিনার সরকার যেমন নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েও মন্ত্রীদের সম্পদ প্রকাশ করেনি, বর্তমান সরকারও সেই পথেই হাঁটছে। তার মতে, এটি ছিল স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নজির গড়ার সুযোগ, যা হারানো হয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যদি লুকানোর কিছু না থাকে, তবে উপদেষ্টাদের সম্পদ প্রকাশে দেরি কেন? এতে প্রশ্ন থেকেই যায়।
এদিকে উপদেষ্টা ও তাদের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠছে। সর্বশেষ চাঁদাবাজির এক ঘটনায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার নাম এসেছে। যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ মনে করেন, ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানের বিশেষ সুবিধা পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তার ভাষায়, “তাহলে পরিবর্তনের নমুনা কোথায়?”
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনের অবসান হলেও জনগণের প্রত্যাশা ছিল অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক নতুন সংস্কৃতি গড়ে তুলবে। কিন্তু এক বছর পেরোতেই সেই প্রত্যাশা ধাক্কা খাচ্ছে নতুন অভিযোগ ও অস্বচ্ছতার কারণে।




























