আওয়ার টাইমস নিউজ।
পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় প্রশাসন পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালানো হয়, যা পরবর্তীতে পাহাড়ি ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
মঙ্গলবার দুপুরে গুইমারা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং চিকিৎসাধীনদের চিকিৎসার দায়িত্ব প্রশাসন বহন করবে। তিনি আরও জানান, অবরোধকারীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, তারা অবরোধ প্রত্যাহার করলে প্রশাসনও ১৪৪ ধারা তুলে নেবে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে ইউপিডিএফের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর কার্যক্রম বেড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা ভারতের ত্রিপুরায় অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে এ অঞ্চলে হামলা চালাচ্ছে।
তবে মেডিকেল রিপোর্টে উঠে এসেছে, যে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে অবরোধ চলছে, প্রকৃতপক্ষে তার ওপর কোনো ধর্ষণ ঘটেনি। খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। যদিও সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের সরাসরি মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে তার কার্যালয়ের এক তদন্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
ডা. ছাবের জানান, তিন সদস্যের মেডিকেল কমিটি রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে এবং সেটি জেলা পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে পরিস্থিতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে সাজানো নাটকের ঘটনায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়রা আতঙ্কে রয়েছে, প্রশাসন বলছে, এখন মূল লক্ষ্য শান্তি ফিরিয়ে আনা।