
আওয়ার টাইমস নিউজ।
রাজনীতি ডেস্ক: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নামে মনোনয়ন দেওয়া আসনগুলোতে ভোটগ্রহণ স্থগিত হবে কি না, এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আসনের নির্বাচনী কার্যক্রম বাতিলের বিধান থাকলেও, খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সেই আইন প্রযোজ্য হবে কি না, তা এখন কেন্দ্রীয় আলোচনার বিষয়।
নির্বাচন বাতিলের আইনি বিধান
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর ১৭(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পর যদি কোনো বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থী মারা যান, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই আসনের নির্বাচন কার্যক্রম বাতিল করবেন। নির্বাচন বাতিল হলে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে জানাতে হবে। এরপর নতুন তপশিল ঘোষণা করা হবে। আগের তপশিলে যারা বৈধভাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের নতুন করে মনোনয়নপত্র বা জামানত জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে, কোনো বৈধ প্রার্থী মৃত্যুবরণ করলে সংশ্লিষ্ট আসনের তপশিল বাতিল হবে। তবে বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান তপশিলে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ, তিনি এখনও বৈধ প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হননি। পাশাপাশি বিএনপি সংশ্লিষ্ট আসনগুলোতে বিকল্প প্রার্থী রেখেছে। ফলে কোনো জটিলতা তৈরি হবে না।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, এই বিষয়টি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে বগুড়া, দিনাজপুর ও ফেনীর তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এসব আসনে বিকল্প প্রার্থীও রাখা হয়েছে।
বিএনপি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুবরণ করেছেন। তার প্রয়াণে দলের পক্ষ থেকে সাত দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।


























