আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র আবারও বিতর্কের মুখে। সম্প্রতি তিনি দাবি করেছেন, খৎনা করা ছেলেশিশুদের পরবর্তী জীবনে অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
গত ৯ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেন,
“দুটি গবেষণায় দেখা গেছে, খৎনার পর শিশুদের ব্যথানাশক ওষুধ টাইলেনল দেওয়া হলে অটিজমের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।”
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এপি নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, এই বক্তব্যের পক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। বরং এটি নতুন এক রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এর আগেও ট্রাম্প ও কেনেডি একসঙ্গে গর্ভবতী নারীদের টাইলেনল ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তাদের দাবি, ওষুধটির সক্রিয় উপাদান অ্যাসিটামিনোফেন শিশুদের বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তত্ত্বের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই।
ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কেনভিউ জানিয়েছে, “আমরা সব গবেষণা পর্যালোচনা করছি, তবে এখন পর্যন্ত অ্যাসিটামিনোফেনের সঙ্গে অটিজম বা বিকাশগত সমস্যার সরাসরি কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।”
অন্যদিকে, আমেরিকান কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকলজিস্টস এবং সোসাইটি ফর ম্যাটার্নাল-ফিটাল মেডিসিন উভয় সংস্থাই গর্ভাবস্থায় অ্যাসিটামিনোফেনকে নিরাপদ বলে অভিহিত করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “রাজনৈতিক বক্তৃতার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক তথ্য বিকৃত করলে জনসাধারণ বিভ্রান্ত হয়। এই ধরনের মন্তব্য স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়ায় না, বরং ভুল ধারণা তৈরি করে।”
তবে খৎনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চলছে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খৎনা করলে এইচআইভি, এইচএসভি-২ ও মূত্রনালীর সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, কেনেডির বক্তব্য এখন শুধু চিকিৎসাবিজ্ঞান নয়, ট্রাম্প প্রশাসনের রাজনৈতিক ভাবমূর্তিতেও প্রভাব ফেলছে।