আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগে আওয়ামীপন্থি ৩১ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শহীদ মোহাম্মদ আদিলের বাবা এই মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০(খ), ১৪৩, ২০৩, ৪৩১, ৪৪০, ৫০০, ৫০১, ৫০২, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৫(ক) ও ৫০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্তদের তালিকা
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন-শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৎকালীন সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, একুশে টিভির সাবেক সিইও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক নঈম নিজাম, একাত্তর টিভির সাবেক সিইও মোজাম্মল বাবু, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টুসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, সংবাদপত্র নেতা এবং টিভি চ্যানেলের নিউজ হেডরা।
মামলার অভিযোগ
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে ভুয়া ও পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এই সময়ে তিনি এবং তার সরকার বিরোধী আন্দোলন দমন করতে হত্যাকাণ্ড, গুম, নিপীড়ন ও দমন-পীড়ন চালায়।
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত সাংবাদিক ও গণমাধ্যম নেতারা তাদের বক্তব্য, সংবাদ ও আর্থিক প্রভাবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই তারা গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে তাকে সমর্থনের আশ্বাস দেন এবং একই বছরের ২৭ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বিরোধী আন্দোলনকে ‘জঙ্গি কর্মকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালান।
শহীদ আদিলের ঘটনা
মামলার বাদী শহীদ মোহাম্মদ আদিলের বাবা জানান, তার ছেলে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীর সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। আদিল তখন দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।