
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় চলমান মানবিক সংকটের মুখে এবার সেখানে একটি নতুন ধরনের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ঘোষণা অনুযায়ী, ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য স্থাপন করা হবে ‘খাদ্য কেন্দ্র’, যেখানে মানুষ বাধাহীনভাবে এসে খাবার সংগ্রহ করতে পারবে, থাকবে না কোনো বেড়া, সীমানা বা নিরাপত্তা বেষ্টনী।
সোমবার স্কটল্যান্ডে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমরা এমন একটি ব্যবস্থা করছি, যেখানে কেউ আটকে যাবে না, সবাই চলাফেরা করতে পারবে এবং সহজেই খাদ্য সহায়তা পাবে।
ট্রাম্প জানান, এ প্রকল্পের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই গাজাবাসীর জন্য ৬০ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নও সহায়তা আরও বাড়াবে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, গাজায় যা ঘটছে, তা এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। ব্রিটিশ জনগণও হতবাক। এই পরিস্থিতি থেকে মানুষকে বাঁচাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ট্রাম্প আরও বলেন, গাজার পরিস্থিতি এখন বিশৃঙ্খল এবং ভয়াবহ। সেখানে মানুষের প্রধান চাহিদা এখন খাদ্য ও নিরাপত্তা। সেই প্রয়োজন মেটাতে এই কেন্দ্র স্থাপন জরুরি।
এদিন দুই নেতা গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার কথাও স্বীকার করেন। ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতি অবশ্যই সম্ভব, তবে সেটা চাইলেই হবে না, তার জন্য কাজ করতে হবে এবং পরিস্থিতির শেষ আনতে হবে।
এদিকে ট্রাম্প ইসরায়েলকেও কৌশল পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন। তবে তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছেন বলে জানান।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেখানে প্রতিদিন বেড়েই চলেছে অনাহার ও অপুষ্টিজনিত মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১৪ জনের, যার মধ্যে শিশু রয়েছে ৮ জন। এ নিয়ে চলমান যুদ্ধে ক্ষুধায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৭ জনে।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েল যে পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে, তা মোটেও যথেষ্ট নয় এবং পরিস্থিতি এখন ‘দুর্ভিক্ষ-সদৃশ’ রূপ নিয়েছে।




























