আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি ক্রমেই ভঙ্গুর হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিতে এবং গাজায় সেনা পাঠাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম Truth Social-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে সামরিক বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এমন ভালোবাসা ও উদ্দীপনা আমি হাজার বছরেও দেখিনি! তবে তিনি কোন কোন দেশ এমন প্রস্তাব দিয়েছে, তা স্পষ্ট করেননি।
তিনি বিশেষভাবে ইন্দোনেশিয়ার নাম উল্লেখ করে বলেন, দেশটি গাজায় মানবিক সহায়তায় আগ্রহ দেখালেও হামাসবিরোধী যুদ্ধে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেয়নি। ট্রাম্প বলেন, আমি এসব দেশ ও ইসরায়েলকে বলেছি, এখন নয়। হামাস যদি সঠিক পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে দ্রুত ও নির্মম প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক প্রভাবই নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাকেও নাড়া দিতে পারে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং হামাসের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পরিস্থিতি দিন দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার এক ভাষণে বলেন, আমাদের এক হাতে অস্ত্র, অন্য হাতে শান্তির বার্তা, কিন্তু শান্তি কেবল শক্তিশালীর সঙ্গেই সম্ভব। তিনি দাবি করেন, রোববার হামাসের হামলায় দুই সৈন্য নিহত হওয়ার পর গাজায় হামাসের বেশ কয়েকটি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে, হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলই একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে এবং গাজায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে। সংগঠনটির দাবি, এই আগ্রাসনের মাধ্যমে ইসরায়েল মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে এবং আন্তর্জাতিক চুক্তিকে উপেক্ষা করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ যদি সত্যিই গাজায় সামরিকভাবে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তা পুরো অঞ্চলে নতুন এক সংঘাতের জন্ম দেবে এবং শান্তি প্রচেষ্টাকে আরও দুর্বল করে তুলবে।
সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল