আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা অভিমুখী একটি মানবিক ত্রাণ জাহাজের ওপর দিয়ে গতকাল একটি সন্দেহজনক সামরিক বিমান উড়তে দেখা গিয়েছে, যা সম্ভাব্যভাবে ইসরায়েলের। জাহাজে বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ সাংবাদিক, চিকিৎসক ও আন্তর্জাতিক অধিকারকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জাহাজে থাকা উইলিয়াম আলেকজান্ডার জানিয়েছেন, বিমানটি তাদের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে কয়েকবার ঘুরেছে এবং সম্ভবত সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেলে ভূমধ্যসাগরে ‘কনশানস’ নামের জাহাজটি গাজার দিকে এগোতে থাকা সময় ফেসবুক লাইভে এ দৃশ্য ধরা পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, জাহাজের চারপাশে অস্বাভাবিকভাবে ঘুরছে বড় একটি বিমান। উইলিয়াম আলেকজান্ডার বলেন, “নিঃসন্দেহে এটি একটি সামরিক বিমান। আমাদের উপর ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তবে এটি কোনো শারীরিক হামলা নয়, বরং মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি।
জাহাজের ভেতরে প্রচুর ওষুধ, স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম এবং মানবিক সহায়তা রয়েছে, যা গাজার অধিবাসীদের পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। জাহাজের ক্যাপ্টেন ম্যাডেলেইন হাবিব বলেন, “আমরা চাই একটি স্থায়ী মানবিক করিডর খোলা হোক, যাতে ফিলিস্তিনিরা সমুদ্রে প্রবেশ ও বাণিজ্য করতে পারে। এটি শুধুমাত্র ত্রাণ দেওয়ার জন্য নয়, বরং তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।”
মার্কিন প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা টম হায়েসও ফেসবুক লাইভে বলেন, “বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিটি ফোরামে আমাদের অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও তাদের ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে হবে। এটি শুধু মানবিক সহায়তা নয়, ফিলিস্তিনিরা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।”
জাহাজটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)’ এবং ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি)’ নৌবহরের অংশ। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া এবং ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ ভাঙা।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সূত্র জানায়, ইসরায়েলি সামরিক বিমান ক্রমাগত নজরদারিতে রয়েছে এবং নৌযানগুলোকে লক্ষ্য করে সম্ভাব্য নিরাপত্তা চেক চালাচ্ছে। তবে মানবাধিকার সংস্থা অভিযোগ করেছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শান্তিপূর্ণ ত্রাণ প্রেরণের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।