আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা ভূখণ্ডের মূল শহর ‘গাজা সিটি’ দখলের জন্য ইসরায়েল এবার সরাসরি অভিযান চালাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই লক্ষ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেওয়া প্রস্তাবকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। ফলে খুব শিগগিরই গাজা সিটিতে স্থল অভিযানের মাধ্যমে হামাসকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নামছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এই পরিকল্পনার আওতায় ইসরায়েলি সেনাদের গাজা সিটির দিকে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরের ফিলিস্তিনি সাধারণ নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রথমে অনলাইন ভিত্তিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘অ্যাক্সিওস’ জানায়, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা এক বৈঠকে নেতানিয়াহুর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। মূল লক্ষ্য হলো, হামাসকে সম্পূর্ণরূপে দুর্বল করে গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।
এদিকে একজন উচ্চপদস্থ ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যেই গাজা শহর থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর শহর ঘিরে চালানো হবে অবরোধ এবং সুনির্দিষ্ট স্থল অভিযান।
এর আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা গাজাকে দীর্ঘমেয়াদে দখল করে রাখতে চাই না, বরং সেখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ফিরে যেতে চাই। আমাদের লক্ষ্য শাসন নয়, বরং রক্ষা বেষ্টনী তৈরি।" তবে তিনি স্পষ্ট করেননি যে ভবিষ্যতে গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব কে গ্রহণ করবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা দখলের ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল ইসরায়েল। এমনকি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও নেতানিয়াহুর এই অবস্থানকে কার্যত সমর্থন জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, “গাজার বিষয়টি পুরোপুরি ইসরায়েলিদের সিদ্ধান্ত।”
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কারণ, একদিকে গাজার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, অন্যদিকে অঞ্চলজুড়ে নতুন করে সশস্ত্র উত্তেজনার আশঙ্কা বাড়ছে।