আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভোর থেকে গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর আগের দিনও (শনিবার) একই ধরনের হামলায় ৭৭ জন প্রাণ হারান, যাদের মধ্যে খাদ্য সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অন্তত ১১ জন সাধারণ মানুষ ছিলেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে শহরটিকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলা হচ্ছে এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ক্রমবর্ধমান হামলার কারণে গাজার উত্তরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ দলে দলে দক্ষিণ দিকে পালাতে শুরু করেছে।
ইতোমধ্যেই গাজার মানবিক পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে, খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধসহ বহু মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনাহারে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। একদিন আগেই গাজায় অনাহারে একটি শিশুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়, যা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও জাতিসংঘের একাধিক সংস্থা ইসরায়েলকে অবিলম্বে অবরোধ তুলে দিয়ে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে, ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চলের কর্মীরা সমুদ্রপথে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। বার্সেলোনা থেকে “গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা” নামে একটি মানবিক জাহাজ গাজার উদ্দেশে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই উদ্যোগে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বহু মানবাধিকারকর্মী যোগ দিয়েছেন।
গাজা সিটিতে চলমান এই সংঘাতের কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন নতুন নতুন মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতির খবর আসছে। আন্তর্জাতিক মহল বারবার যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের দাবি তুললেও পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।
সূত্র: আল জাজিরা ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম