আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা সিটি যেন এক মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। রবিবার ভয়াবহ বিমান হামলায় আল-রুয়া টাওয়ার নামের একটি বহুতল ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে টানা কয়েকদিনে আরও কয়েকটি টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের হিসাবে, শুধু গাজা সিটিতেই এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০টি টাওয়ার ধ্বংস হয়েছে।
শুধু রবিবারেই উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৫ জন, যাদের মধ্যে ৪৯ জন উত্তর গাজার বাসিন্দা। আল-রুয়া টাওয়ারটিতে ছিল ২৪টি পরিবারিক ফ্ল্যাট, দোকান, ক্লিনিক ও জিমনেসিয়াম। আগাম সতর্কতা দিলেও আশপাশের তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। স্থানীয় এনজিও নেতা আমজাদ শাওয়া বলেন, “আজ শত শত পরিবার তাদের মাথার ছাদ হারিয়েছে। ইসরায়েল মানুষকে দক্ষিণে ঠেলে দিচ্ছে, অথচ দক্ষিণেও কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।
ধ্বংসের তালিকায় শুক্রবার ছিল মুশতাহা টাওয়ার, শনিবার সাউসি টাওয়ার। এভাবে একে একে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গাজা সিটির প্রতিটি উঁচু ভবন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৪ হাজার ৩৬৮ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৬২ হাজারের বেশি। বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।
তার ওপর চরম খাদ্য সংকটে গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে মারা গেছেন পাঁচজন, এর মধ্যে তিনজন শিশু। যুদ্ধ শুরু থেকে এ পর্যন্ত ক্ষুধায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮৭। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, গাজায় চলমান হামলাগুলো স্পষ্টতই গণহত্যার রূপ নিয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি এটিকে হামাসের জন্য “চূড়ান্ত সতর্কবার্তা” বলে উল্লেখ করেন। তবে ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছে, টেকসই শান্তির যেকোনো উদ্যোগ তারা স্বাগত জানাবে।
সূত্র: আল জাজিরা