
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজারে পথসভায় বিএনপির জাতীয় নেতার বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। চকরিয়ায় এনসিপির সমাবেশস্থলে মঞ্চ ভাঙচুর, ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে আগুন এবং গাড়িবহর আটকে রাখার ঘটনায় দুই দলের নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজারে এনসিপির এক পথসভায় দলটির কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করলে বিষয়টি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে নামেন, সমাবেশ ঘিরে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়।
দুপুর আড়াইটায় কক্সবাজারের সমাবেশ শেষে ঈদগাঁও উপজেলায় আরেকটি পথসভা করার কথা থাকলেও বিএনপির তোপের মুখে সেটি বাতিল করে দ্রুত গাড়িবহর নিয়ে সরে যায় এনসিপি নেতাকর্মীরা। যাত্রাপথে চকরিয়ায় এনসিপির সমাবেশস্থলে বিএনপির নেতাকর্মীরা মঞ্চ ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চকরিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের সমাবেশের মঞ্চ ভাঙচুর করেছেন। এখন আমরা আতঙ্কে ফাসিয়াখালী এলাকায় অবস্থান করছি।’
চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক বলেছেন, ‘সালাহউদ্দিন আহমেদ একজন জাতীয় নেতা। তাঁকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় এনসিপির নেতাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা লোহাগাড়ায় এনসিপির ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে আগুন দেন, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ ঘটনায় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিএনপির লোকজন চকরিয়ায় গাড়িবহর আটকে রেখেছে। যা লীগ ১৬ বছর ধরে করেছে, বিএনপিও সেই পথেই হাঁটছে।’
রাতে বান্দরবানের কর্মসূচিতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে নতুন করে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের অধিকার গণতান্ত্রিকভাবে দমন করা হচ্ছে।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি কেউ আবার ভয় দেখানোর সংস্কৃতি চালু করতে চায়, জনগণ আবারও রাজপথে নামবে।’
বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে নাহিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, ও স্থানীয় জেলা সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মো. শহীদুর রহমান সোহেল।
বান্দরবান, কক্সবাজার, পেকুয়া ও ঈদগাঁও প্রতিনিধিদের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি।





























