
আওয়ার টাইমস নিউজ।
স্পোর্টস ডেস্ক: “শেষ ভালো যার, সব ভালো তার”—প্রবাদটা মানতে পারেনি বাংলাদেশ। তিনশ ছোঁয়ার হাতছানি থাকলেও শেষ দিকে ব্যাটিং ধসে অলআউট হলো মাত্র ২২১ রানে।
বুধবার আবু ধাবি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারালেও মাঝের জুটিতে ভরসা ফেরায় দল। তবে শেষ দিকে রশিদ খানের ঘূর্ণি ম্যাজিকে ভেঙে পড়ে টাইগারদের মিডল অর্ডার।
শুরুতে ব্যর্থতা
ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। দলীয় ২৫ রানে বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিছুক্ষণ পর ৫৩ রানে আউট হন ফর্মে থাকা ওপেনার সাইফ হাসান।
মিরাজ–হৃদয়ের লড়াই
এমন সময়ে হাল ধরেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও তরুণ তাওহীদ হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ১৪২ বলে ১০১ রানের দারুণ জুটি। ৩৫.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৪/৩। তখন মনে হচ্ছিল তিনশের কাছাকাছি যাবে টাইগাররা।
হঠাৎ ধস
কিন্তু ১৫৪ থেকে ২২১—মাত্র ৬৭ রানের মধ্যে গুটিয়ে যায় বাকি ৭ উইকেট। রানআউট হয়ে ফেরেন হৃদয় (৫৬)। এরপর রশিদ খানের গুগলিতে বিপর্যস্ত হয় বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারের মিরাজ (৬০), জাকের আলি (১০) ও নুরুল হাসান সোহান (৭)—তিনজনকেই ফিরিয়ে দেন রশিদ।
শুধু ১০ ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
লেজেন্ডারি ব্যাটিং ব্যর্থতা
শেষ দিকে পেসার হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব ও স্পিনার তানভির ইসলাম ব্যাট হাতে কিছুই করতে পারেননি। শেষ ৩৪ বলও খেলতে পারেনি দল। ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের শুরুটা যেমন ব্যর্থতায় ভরপুর, শেষটাও তেমনি ধস নামানো। মাঝের সময়ে মিরাজ–হৃদয় লড়াই করলেও সেটি বৃথা যায়। হাতে থাকা উইকেট কাজে লাগাতে না পারায় আফগানিস্তানের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করানো সম্ভব হয়নি টাইগারদের।



























