আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর সংসদ ভবন অ্যাভিনিউ সড়কে সংঘবদ্ধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক চক্রের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সাংবাদিক আরমান ভূঁইয়া। ঘটনাস্থলেই মাথায় আঘাত পেয়ে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। পুলিশ প্রথমে কয়েকজন ছিনতাইকারীকে আটক করলেও পরে অজ্ঞাত কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে মনিপুরীপাড়া ৫ নম্বর গেইটের সামনে। আহত সাংবাদিককে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মাথায় দুটি সেলাই দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আটক ব্যক্তিরা অটোরিকশা চালানোর আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে আসছে। তেজগাঁও ও শেরে বাংলা থানার এলাকায় রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে তারা এ ধরনের অপরাধে যুক্ত রয়েছে। পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিলেও প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপে চক্রের সদস্যরা ছাড় পেয়ে যায়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরমান ভূঁইয়া বর্তমানে বাংলা ট্রিবিউন-এর অপরাধ বিভাগের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত। তিনি জানান—
> “ওইদিন আমি এক বন্ধুসহ চক্রের একজনকে আটক করি। পরে আরও কয়েকজন সদস্য এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে দেরি করে। পরবর্তীতে তেজগাঁও থানার সামনেই ১০-১৫ জন ছিনতাইকারী আমাকে অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে।”
আরমানের অভিযোগ, তেজগাঁও থানার এসআই নিয়াজ উদ্দিন মোল্লা কিছু আসামিকে আটক করে থানায় নিলেও পরে ‘টাকার বিনিময়ে’ তাদের ছেড়ে দেন। মামলা করার চেষ্টা করলেও পুলিশ বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করেছে।
তেজগাঁও থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অবশ্য বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে ওসি মো. মোবারক হোসেন বলেন—
“আটক ব্যক্তিদের ছাড়িয়ে নিতে প্রায় ৫০-৬০ জন রিকশা চালক থানায় এসেছিল। মব সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
যদিও থানার একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, সেদিন কোনো মব তৈরি হয়নি। আটক ব্যক্তিদের গ্যারেজ মালিকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক সমাজ ঘটনাটিকে পুলিশি দায়িত্বে গাফিলতি ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অপরাধীদের রক্ষার উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।