
আওয়ার টাইমস নিউজ।
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলিতে ভূমিকম্পের সময় মাথায় ইট পড়ে নিহত মেডিকেল শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম রাফি (২৩)–এর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মা নুসরাত জাহান নিপা সন্তানের কফিনের পাশে বসে একথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন হুঁশ ফিরার পর বলছেন “বাবা, তোমার সঙ্গে বেহেশতে দেখা হবে।”
শনিবার (২২ নভেম্বর) বাদ জোহর বগুড়া শহরের সুত্রাপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে রাফির দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা হয়।
বাদ আসর তাকে বগুড়া শহরের নামাজগড় আঞ্জুমান-ই-গোরস্থানে দাদা ও চাচার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
রাফির মামা ও সহপাঠী নাহিয়ান ইসলাম অন্তর জানান, সকালে রাফির লাশ বগুড়ায় পৌঁছানোর পর শোকের মাতম ছড়িয়ে পড়ে সুত্রাপুরের বাড়িতে।
মাকে আলাদা অ্যাম্বুলেন্সে আনা হয়, জানানো হয়নি ছেলের মৃত্যুর খবর
ভূমিকম্পে আহত হওয়ায় রাফির মা নুসরাত জাহান নিপাকে আলাদা অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরিবার জানায়—মাকে তখনও ছেলের মৃত্যুর কথা বলা হয়নি।
বিকেলে রাফির মরদেহ বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পৌঁছালে তাকে কফিনের পাশে বসানো হয়। সেই মুহূর্তে সত্যটি জানাজানি হলে তিনি হৃদয়বিদারক কান্নায় ভেঙে পড়েন।
“বাবা, তোমার সঙ্গে বেহেশতে দেখা হবে”—মায়ের আর্তনাদে কেঁদে ওঠে সবাই
রাফির কফিন ধরে মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বারবার বলছিলেন, “বাবা, তুমি আমাকে রেখে চলে গেলে কেন? আল্লাহর কাছে দোয়া করি, বেহেশতে তোমার সঙ্গে দেখা হবে।”
তার এই আহাজারিতে আশপাশে উপস্থিত মানুষজন নিজেকে সামলাতে পারেননি। পরিবার, আত্মীয়স্বজন, সহপাঠী ও এলাকাবাসী সবাই অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।
ভূমিকম্পে নিহতদের একজন রাফি
শুক্রবার সকালবেলায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে রাজধানী সহ সারা দেশে কম্পন অনুভূত হয়। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত হন, আহত হন ছয় শতাধিক মানুষ।
তাদেরই একজন ছিলেন ভবিষ্যৎ চিকিৎসক রাফিউল ইসলাম রাফি।





























