
আওয়ার টাইমস নিউজ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় একদিকে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে অব্যাহত সামরিক হামলা, দুই সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জীবন। শক্তিশালী ঝড় ‘বায়রন’-এর প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও তীব্র শীতে গাজার হাজার হাজার অস্থায়ী তাঁবু পানিতে ডুবে গেছে, যার ফলে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঠান্ডা ও বৃষ্টিজনিত কারণে এক শিশুসহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়, ঝড়ের তাণ্ডব চললেও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় তথাকথিত নিরাপত্তা সীমা অতিক্রমের অভিযোগে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক ফিলিস্তিনি নারী নিহত হন।
টানা বৃষ্টিতে গাজার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট ও ত্রাণশিবির পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় তাঁবু ভেঙে পড়ায় মানুষজন আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন আংশিক ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনে। অস্থায়ী আশ্রয়গুলো পর্যাপ্ত সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় শিশু, নারী ও বয়স্কদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ বর্তমানে বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে। অন্তত ৭৬০টির বেশি শরণার্থী শিবির সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই সংকটের মধ্যেই গাজা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নীরব প্রস্তুতি চলছে বলে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা রয়েছে। তবে এসব পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে তারা নিজস্ব অবস্থান মধ্যস্থতাকারী ও যুক্তরাষ্ট্রকে জানাচ্ছে। সংগঠনটি গাজায় পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরুর সুযোগ দিতে আন্তর্জাতিক মহলকে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সরকার পুনরায় দাবি করেছে, গাজা উপত্যকায় হামাসের কোনো ভবিষ্যৎ ভূমিকা থাকবে না এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী উপত্যকাটিকে অস্ত্রমুক্ত করার প্রক্রিয়া চালু থাকবে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি



























